জাতীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন,নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এবং তাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। কোরআন হাদিসে কি আছে তা আমরা কিন্তু জানি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এতো লাফালাফি হলো কেন? ভাস্কর্য তো আরো রয়েছে বাংলাদেশে। বাবুনগরীর চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে তো জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য রয়েছে সেগুলো কি চোখে পরে না? আগে চট্টগ্রামে শেষ করেন তারপর ঢাকাতে আসেন। ঢাকা শহরে চিল্লা ফাল্লা করবেন, ভাস্কর্য হারাম বলবেন। আর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তার উত্তর দিতে পারেন না। এসব বাদ দেন।
সোমবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালীর পূর্বে একথা বলেন তিনি।
পলাশ বলেন,এই ১৪ডিসেম্বর ছিলো বাংলাদেশ যাতে আর কখনো মাথা উচু করে দাড়াতে না পারে তার নীল নকশা এই দিনেই বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। পাক হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পেরেছিলো তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত ঠিক তখনই তারা মুক্তি পাগল বাঙালী জাতির মধ্য থেকে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিবে, বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে, যারা সফলতার রাস্তা দেখাবে তাদেরক ডেকে নিয়ে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করে। আজকে আমাদের শপথ হোক, এই বাংলার মাটিতে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের কোনো ঠাই নাই। যতদিন আমরা বেঁচে থাকবো ততদিন পর্যন্ত আগামী প্রজন্মের কাছে এই খবর পৌছিয়ে দিতে থাকবো।
বক্তব্য শেষে কাউসার আহমদে পলাশের নেতৃত্বে র্যালী বের হয়। র্যালীটি চাষাড়া শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুণরায় চাষাড়া শহীদ মিনার এসে শেষ হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কাস নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক রাজু প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :