বন্দর বহুতল ভবনে সেফটি ট্যাঙ্কি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের নিহত দুই শিশুর পিতা-মাতা ও নিহত অন্তঃসত্বা গৃহবধূ লাবনী পরিবারসহ ৬টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবতায় জীবন যাপন করছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
করোনা মহামারি কারনে নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে ৬টি পরিবারের প্রায় ২০ জন সদস্যের। পাড়ার প্রতিবেশীর সহায়তায় খাওয়া হচ্ছে সেহেরী-ইফতার।
নিহত দুই শিশু সহদোর পিতা খোরশেদ আলম জানান, পরনে থাকা কাপড় ছাড়া সব কিছু রেখে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন থেকে সরিয়ে দেন প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের দেশে যেতে না পারায় দুই ছেলেকে হারিয়ে ছয় মাস বয়সের এক শিশু কন্যাকে নিয়ে অন্য আরেক বাড়ির সামনে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে আমাদের। এ ছাড়াও আরো ৫টি পরিবারও বসবাস করছে এখানে। এখানে দিনে দুই ঘন্টা গ্যাস থাকে। খেয়ে না খেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে আমাদেরকে এখানে থাকতে হচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মাণের কারনে অকালে ঝরে গেলে আমার দুই শিশু সন্তান । আমি বাড়ির মালিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ৫ তলা ভবনের বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় মালিক রফিকুল ইসলাম হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শুল্কা সরকার জানান, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ ৫তলা ভবনসহ আশের একটি ৪ তলা ভবনে ফাটল এবং আরো ৩টি বাড়ি ঝুকিপূর্ণ। সেখান থেকে সকলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। নিহত এবং আহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :